কণ্ঠনীল

বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ


Breaking

Friday, September 19, 2025

September 19, 2025

রাশিয়ার নতুন ক্যান্সার ভ্যাকসিন ‘এন্টারোমিক্স’: প্রথম ট্রায়ালে ১০০% সফলতা

রাশিয়ার নতুন ক্যান্সার ভ্যাকসিন ‘এন্টারোমিক্স’: প্রথম ট্রায়ালে ১০০% সফলতা

রাশিয়ার নতুন ক্যান্সার ভ্যাকসিন ‘এন্টারোমিক্স’: প্রথম ট্রায়ালে ১০০% সফলতা

রাশিয়ার নতুন ক্যান্সার ভ্যাকসিন ‘এন্টারোমিক্স’ প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ১০০% কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা প্রদর্শন করেছে। এই ভ্যাকসিনটি অত্যাধুনিক mRNA প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি, যা ‘কোভিড-১৯’ ভ্যাকসিনের মতোই।

কিভাবে কাজ করে ‘এন্টারোমিক্স’?

এন্টারোমিক্স মূলত কাস্টমাইজড ইমিউনোথেরাপি। প্রতিটি ডোজ রোগীর টিউমারের জিনগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী তৈরি হয়। অর্থাৎ, রোগীর শরীরের ক্যান্সার কোষকে লক্ষ্য করেই ভ্যাকসিন কাজ করে।

প্রথম ট্রায়ালের ফলাফল

  • ৪৮ জন স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেন।
  • টিউমারের আকার কমতে শুরু করে।
  • কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

গবেষণার পেছনের প্রতিষ্ঠান

এই গবেষণা পরিচালনা করেছে রাশিয়ার ন্যাশনাল মেডিক্যাল রিসার্চ রেডিওলজিক্যাল সেন্টার এবং এঙ্গেলহার্ড ইনস্টিটিউট অব মলিকুলার বায়োলজি

লক্ষ্যবস্তু ক্যান্সার

প্রথম ধাপে ভ্যাকসিনটির লক্ষ্য ছিল কলোরেকটাল ক্যান্সার, যা বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান ধরন।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এন্টারোমিক্স সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ক্যান্সার চিকিৎসায় এক নতুন যুগের সূচনা হবে। তবে এর জন্য প্রয়োজন:

  1. সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করা
  2. জিনগত প্রোফাইলিংয়ের অবকাঠামো গড়ে তোলা
  3. কোল্ড-চেইন স্টোরেজ সঠিকভাবে পরিচালনা

বিশেষজ্ঞ মতামত

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, পার্সোনালাইজড mRNA ভ্যাকসিন ভবিষ্যতে ক্যান্সার চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাতে পারে। তবে বৃহত্তর ট্রায়ালে এর কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা প্রমাণিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

এন্টারোমিক্স শুধু রাশিয়ার নয়, বরং পুরো বিশ্বের জন্য ক্যান্সার চিকিৎসায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

Tags:

ক্যান্সার ভ্যাকসিন, রাশিয়ার এন্টারোমিক্স, mRNA ভ্যাকসিন, কলোরেকটাল ক্যান্সার, ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন অগ্রগতি

September 19, 2025

গাজীপুরে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর


গাজীপুরের কাশিমপুরে কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাশিমপুর নামা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পূজা উদযাপন কমিটির প্রস্তুত করা প্রতিমাগুলো ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পূজারিরা।

খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে খাবারের জন্য সাময়িকভাবে সবাই বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যান তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা প্রতিমাগুলো সবসময় পাহারার ব্যবস্থা রেখেছিলাম। তবে দুপুরে খাবারের জন্য সাময়িকভাবে সবাই বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যায় তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান। এ বিষয়ে আমরা থানা পুলিশকে অবহিত করেছি।

এ বিষয়ে কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার আবু নাসের মো. আল আমিন বলেন, বুধবার সারাদিন বৃষ্টি ও বাতাস ছিল, বাতাসেই প্রতিমা ভেঙে গেছে। এর বাইরে কিছু নয়।

 

September 19, 2025

অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন ও সম্প্রীতিময় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে গুরুত্ব


ইন্দোনেশিয়ায় আন্তঃধর্মীয় সম্মেলনে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন ও সহনশীল-সম্প্রীতিময় আন্তঃধর্মীয় সংলাপের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশের ধর্মীয় নেতারা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাজধানী জাকার্তায় সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে তারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।
‘খ্রিস্টান কনফারেন্স অব এশিয়া’ এর উদ্যোগে ‘এশিয়ায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ধর্ম ও অধিকারের স্বাধীনতা’ শীর্ষক এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) চারদিনব্যাপী এই সম্মেলন সমাপ্ত হবে।
উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার ধর্মমন্ত্রী ড. নাসিরউদ্দিন ওমর। তিনি বলেন, ‘আমরা ইন্দোনেশিয়ায় সর্ব ধর্মের সহাবস্থান নিশ্চিত করেছি। অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তৈরি এবং সকলের অধিকার নিশ্চিত করতে ইন্দোনেশিয়ান জাতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এশিয়ার অন্য দেশসমূহের সরকার এবং নাগরিক সমাজকেও একই ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। ধর্মীয় সংগঠন ও নেতাদের দায়িত্ব এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি।’
সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বৌদ্ধ ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় মহাথের, খ্রিস্টান কমিউনিটির পক্ষে রেভারেন্ড জন সাগর কর্মকার, হিন্দুদের পক্ষে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের (একাংশ) মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।
ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন ও সহনশীল-সম্প্রীতিময় আন্তঃধর্মীয় সংলাপের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বাংলাদেশের বৌদ্ধ সমাজের পক্ষ থেকে এশিয়ার অন্য ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে এশিয়াজুড়ে শান্তির অন্বেষণে ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান।
সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া। তিনি শান্তিপূর্ণ আন্তঃধর্মীয় সহাবস্থান নিশ্চিতকরণে নিরন্তর প্রচেষ্টার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ জন্য সরকার, সংসদ ও নাগরিক সমাজের সাথে ধর্মীয় নেতাদেরও সার্বক্ষণিক ভূমিকা রাখতে হবে।
আ্যডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বাংলাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর জন্য সংসদে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সম্মেলনে রেভারেন্ড জন সাগর কর্মকার অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে এশিয়ার জাতিসমূহের প্রতি আরো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উন্নয়নে অবদানসমূহ তুলে ধরেন।
ভারতের ম্যাথিউজ জর্জ চুনাকারার সভাপতিত্বে সম্মেলনে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আন্তঃধর্মীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বৌদ্ধ ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় মহাথের প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


 

Wednesday, September 17, 2025

September 17, 2025

নেত্রকোনায় দুই প্রতিমা ভাঙচুর


 নেত্রকোনায় দুটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। সংশ্লিষ্টদের দাবি, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার মধ্যে কোনো এক সময় সদর উপজেলার কান্দুলিয়া কালীবাড়ি পূজামণ্ডপে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও কান্দুলিয়া কালীবাড়ি পূজামণ্ডপ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিমাশিল্পীরা গত কয়েক দিন ধরে অস্থায়ী দুর্গামণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করছিলেন। মাটির কাজ শেষে কয়েক দিন আগে তাঁরা চলে যান। এরপর ত্রিপল ও কাপড় দিয়ে প্রতিমাগুলো ঢেকে রাখা হয়েছিল।

মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে কার্তিকের ডান হাত মোচড়ানো ও অসুরের বাঁ হাত ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। এ ছাড়া অসুরের গলার অংশ কিছুটা ফাঁকা করে রাখা হয়। পরে মন্দির কমিটির লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

মন্দির কমিটির সভাপতি মিন্টু রায় বলেন, ‘সোমবার রাত তিনটা থেকে আজ সকাল ছয়টার মধ্যে কোনো এক সময় অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা এ কাজ করেছে। প্রতিমাগুলোর এখন শুধু রং করা বাকি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাঁরাও আমাদের এই পূজায় সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন। এবার পূজার আয়োজন না করতে চাইলেও আমাদের উৎসাহিত করেছেন তাঁরা।’

এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করে কান্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা দেওয়ান মঞ্জু বলেন, ‘এ কাজ যে–ই করে থাকুক, আমরা চাই তাঁকে বা তাঁদের আইনের আওতায় আনা হোক। মন্দিরে হামলা বা প্রতিমা ভাঙচুর অন্যায়। এখানে আমরা যেকোনো ধর্মীয় উৎসবে মিলেমিশে আনন্দ করি।’

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজ বেলা একটার দিকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Tuesday, September 16, 2025

September 16, 2025

নেতৃবৃন্দের নামে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সংবাদ সম্মেলন


 খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা অপপ্রচার, অবৈধভাবে কেঁশবচন্দ্র সংস্কৃত কলেজের কমিটি গঠন ও রাধা মাধব মন্দিরের রান্না ঘর দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র। গত ১২ সেপ্টেম্বর কেঁশবচন্দ্র সংস্কৃত কলেজের সভাপতি দেবাংশু কুমার চক্রবর্তী কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের নামে নানা অপপ্রচারের জবাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অবৈধভাবে গঠিত কেঁশবচন্দ্র সংস্কৃত কলেজ কমিটির কতিপয় সদস্য পূজার ভোগ রান্নার স্থানটি জোরপূর্বক দখল নিয়ে সেখানে দোকান ঘর নির্মাণ করতে চায়। কিন্তু কোন ধর্মীয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসার সুযোগ নেই। একইভাবে বিগত ৮-১০ বছর পূর্বে দেবাংশু কুমার চক্রবর্তী ও কৃষ্ণপদ রায় ওরফে কেপি রায় দোকান ঘর নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভবনের প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেছিল। তৎকালীন প্রশাসনের ভৎর্সনায় তারা পুনরায় প্রাচীর নির্মাণ করতে বাধ্য হন। ওই সময় তাদের উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় পুনরায় তারা একই চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা অপপ্রচার প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মন্দির ও কলেজের অভ্যন্তরিন বিষয়ে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ কোনভাবেই সম্পৃক্ত নয়। অথচ কলেজ কমিটির অবৈধ সভাপতি দেবাংশু কুমার চক্রবর্তী তার সংবাদ সম্মেলনে পূজা উদযাপন পরিষদেরর সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডসহ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে যে মিথ্যাচার, শিষ্ঠাচার বহির্ভূত ও অনৈতিক বক্তব্য প্রদান করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

পূজা উদযাপন পরিষদ সম্পূর্ণ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন দাবী করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সংগঠনের কোন সদস্য কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত নন। রাজনৈতিক দলের যে ট্যাগ লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে তা উদ্দেশ্য প্রণিত ও ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা মাত্র। চিন্ময় দাস প্রভুর পান্ডা হিসেবে যে মিথ্যাচার করা হয়েছে তা সঠিক নয় বরং ব্যক্তি আক্রোশ ও অন্যকে হেয় করার নোংড়া মানসিকতা। কেননা চিন্ময় দাস প্রভুর “সনাতনী জাগরণ মঞ্চ” নামে একটি সংগঠন রয়েছে। খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের কেউ এই সংগঠনের সাথ জড়িত নন।

কেঁশবচন্দ্র সংস্কৃত কলেজের সভাপতি দেবাংশু কুমার চক্রবর্তী সম্পর্কে অভিযোগ তুলে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তিনি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বসে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন ও আমিষ জাতীয় খাবার খান। অথচ ভগবানের ভোগ ও ভক্তদের প্রসাদ রান্নার সময় সেবায়েতদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। মন্দির অভ্যন্তরে কলেজ সভাপতির এধরণের আচরণ শোভনীয় নয়। এছাড়াও বিগত কলেজ কমিটির সভাপতি সরকারি বিএল কলেজ ও সরকারি আজম খান কমার্স কলেজের সাবেক অধ্যাপক সুধীর কুমার পালকে চরমভাবে অপমান অপদস্ত করেছেন বর্তমান কলেজ কমিটির অবৈধ সভাপতি দেবাংশু কুমার চক্রবর্তী। এতে দুঃখ পেয়ে সুধীর কুমার পাল পদত্যাগ করেন। আরও অভিযোগ করে বলা হয়, কলেজের পাশেই দেবাংশু কুমার চক্রবর্তী “সেন্ট্রাল ক্লাব” নামে একটি ক্লাব পরিচালনা করতো। তার তত্ববধানে ওই ক্লাবে নিয়মিত মাদক ও জুয়ার আসর বসানো হতো। এসকল অপকর্ম পুনরায় চালু করতেই তিনি মন্দির থেকে সেবায়েত ও সাধু-সন্ন্যাসীদের বিতাড়িত করতে চান।

সংবাদ সম্মেলনের আরও বলা হয়, ‘কেঁশবচন্দ্র সংস্কৃত কলেজ, কেঁশবচন্দ্র সার্বজনীন মন্দির ও রাধা মাধব মন্দির একই আঙ্গিনায় অবস্থিত। দখল ও আধিপত্য বিস্তারের মানসিকতা পরিহার করে  তিনটি প্রতিষ্ঠানই সুন্দরভাবে একে অপরের প্রতি সহযোগীতার মনোভাব নিয়ে পরিচালিত হোক মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ এটাই প্রত্যাশা করে। কোন প্রতিষ্ঠানের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে যদি কোন সমস্যা হয় এবং এবিষয়ে যদি সহযোগীতা কামনা করে কেবল সেই ক্ষেত্রেই মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সহযোগীতা করে। সকলের মাঝে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সর্বদাই সচেষ্ট থাকে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পষিদের কেন্দ্রিয় উপদেষ্টা বিজয় ঘোষ, খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা অশোক সেন, কমলেশ সানা, সভাপতি শ্যামল হালদার, সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু, যুগ্ম সম্পাদক তিলক গোস্বামী, বিশ^জিৎ দে মিঠু, কোষাধ্যক্ষ রতন কুমার নাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জল ব্যানার্জী, আইন সম্পাদক বিজন কৃষ্ণ মন্ডল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক সুজিত মজুমদার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পঙ্কজ দত্ত, সহ-সাস্কৃতিক সম্পাদক এ্যাড. আনন্দ কুমার ঘোষ, সহ-গণসংযোগ সম্পাদক রবীন দাস, শ্রী শ্রী রাধা মাধব মন্দিরের সভাপতি শান্ত বৈকুণ্ঠ দাস ব্রহ্মচারী, প্রধান সেবায়েত বৈষ্ণব বলরাম দাস, কেঁশবচন্দ্র সার্বজনীন মন্দিরের সভাপতি সঞ্জীব বনিক, সাধারণ সম্পাদক শুভ্রদেব দে শুভ, দিপু সমাদ্দার, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সদর থানা সভাপতি বিকাশ কুমার সাহা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পাপ্পু সরকার, সোনাডাঙ্গা থানা সভাপতি বিপ্লব মিত্র, সাধারণ সম্পাদক রামচন্দ্র পোদ্দার, খালিশপুর থানা সভাপতি রজত কান্তি দাস, সাধারণ সম্পাদক দিপক দত্ত, দৌলতপুর থানা সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ অধিকারী, খানজাহান আলী থানা সাধারণ সম্পাদক সুভাষ দত্ত, হরিণটানা থানা সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন রায়, লবনচরা থানা সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখর চন্দ্র পাল, আড়ংঘাটা থানা সভাপতি আশিষ কবিরাজ, তীর্থালোক সংঘের সাধারণ সম্পাদক স্বপন চক্রবর্তী, উজ্জল রায়, দুলাল সরকার, শ্যামল মিস্ত্রী, অসিত সরকার প্রমুখ।

"
"